খুলনা | মঙ্গলবার | ০৮ জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

বিএনপি নেতা ফকরুলকে মারপিট ও চোখ নষ্ট মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি মামুন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৪:২৩ পি.এম | ১৫ জুন ২০২৫


খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার দুুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতা-কর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন তারা। এ সময় নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা বিপুল সংখ্যাক সেনা ও নৌ সদস্য বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেন। 
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধীতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৩ মার্চ খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তিন দফা সমন জারির পরেও আদালতে হাজির না হওয়ায় ২৩ মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। 
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি’র কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে সদর থানার তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন। এতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল আলম (সিআর নং-১০৮৯/২৪)। ওই দিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপ-কমিশনারকে তদন্ত পূর্বক ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার এডিসি জালাল উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।  সর্বশেষ তিনি জামালপুরের মাদারগঞ্জ মডেল থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।