খুলনা | শনিবার | ২১ জুন ২০২৫ | ৭ আষাঢ় ১৪৩২

বাড়ছে ডেঙ্গু ও করোনার প্রকোপ প্রতিরোধের উদ্যোগ নিন

|
১২:৪৬ এ.এম | ২১ জুন ২০২৫


বৃষ্টিবাদল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। শুধু ঢাকা বা বড় শহরগুলোতেই নয়, ছোট শহর বা পৌর এলাকাগুলোতেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়েছে। গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকার বাইরে পৌর এলাকাগুলোতে এডিস মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) স¤প্রতি চারটি পৌর এলাকায় জরিপ করে চারটিতে এডিস মশার ঘনত্ব অনেক বেশি পেয়েছে। এই চারটি পৌর এলাকা হলো ঝিনাইদহ, মাগুরা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী। গত বুধবার আইইডিসিআর অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর বাহকের কীটতাত্তি¡ক জরিপ ২০২৪-২৫ অবহিতকরণ সভায়’ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ তাহমিনা শিরীন বলেন, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি হলো ‘ব্র“টো ইনডেক্স (বিআই)’। এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে সেখানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিশ্চিতভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়।এ ছাড়া হাউস ইনডেক্স ১০-এর বেশি হলে তাকেও ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। জরিপে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় ব্র“টো ইনডেক্স ৬০ শতাংশ। এরপর মাগুরায় ৫৫.৫৬ শতাংশ, পিরোজপুরে ২০ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ১৯.২৬ শতাংশ এবং কুষ্টিয়ায় ৭.৮৭ শতাংশ। পাঁচ পৌর এলাকার মধ্যে হাউস ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি মাগুরায়, ৩৫.৫৬ শতাংশ।
এরপর ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় ৩২.৯৬ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ১৮.১৫ শতাংশ, পিরোজপুরে ১৪.৪৪ শতাংশ এবং কুষ্টিয়ায় ৭.২৯ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিক ড্রাম, বাস্কেট ও দইয়ের খালি পাত্রে লার্ভার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। এ বছর বরগুনায় ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তার হয়েছে। সেখানে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ আছে ৫০টি আসন, অথচ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ২০০ জন।
ডেঙ্গুর পাশাপাশি আবারও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন এবং খুলনা বিভাগে দু’জন শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৫৯ জনের। এই সময়ে মারা গেছে সাতজন।
ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।