দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সংকটের কারণে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কিট শেষ হয়ে গেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্তত পাঁচ হাজার কিটের চাহিদা চাওয়া হলেও গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকা থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহের শেষ চারদিনে খুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে চারজনে। এ অবস্থায় কিট সংকট নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি করছে জনমনে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডাঃ খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পাঁচ হাজার কিটের চাহিদা চাওয়া হলেও গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকা থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দু’একদিনের মধ্যেই কিট পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। এর মধ্যে মোঃ হারুন নামের এক রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিবেন। হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া আক্তার সুস্থ হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে করুনা বেগম নামের একজন ভর্তি আছেন।
তিনি আরও জানান, করোনা পরীক্ষার কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুপুর ১টার পর থেকে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব বিকল থাকায় সেখানে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। জরুরি ভাবে কিট চেয়ে কয়েক দফা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিট পাওয়া মাত্র পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে। আপাতত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।