খুলনা | বুধবার | ২৫ জুন ২০২৫ | ১১ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন মার্কিন কংগ্রেসে, প্রত্যাহার করল ইউক্রেন

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫২ এ.এম | ২৫ জুন ২০২৫


ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সফলভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন একজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। অপরদিকে ট্রাম্পকে মনোনীত করে তা আবার প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনীয় জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা।

ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি করায় ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন জর্জিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বাডি কার্টার।

তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির কাছে এক চিঠিতে লেখেন, ট্রাম্প একটি অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বিধ্বংসী অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রেখেছেন।

এদিকে দ্য নিউজ উইকের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় আইনপ্রণেতা সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কারণ কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনা এখন প্রায় নেই বললেই চলে। বরং ট্রাম্পের দৃষ্টি এখন মধ্যপ্রাচ্যের দিকে।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান ওলেক্সান্ডর মেরেজকো মঙ্গলবার নিউজউইক-কে বলেন, ট্রাম্প এবং তার রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার সক্ষমতার ওপর থেকে বিশ্বাস পুরোপুরি উঠে গেছে।

মেরেজকো গত নভেম্বর মাসে ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তবে তিনি জানান, সোমবার সকালে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জমা দিয়েছেন।

ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাতের অবসান ঘটাবেন।

কিন্তু সময় গড়াতে গড়াতে সেই আশাবাদ ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়। আর নিজেকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে দাবি করা রিপাবলিকান নেতা শান্তি আলোচনার পরিবর্তে কেবল হতাশ হতে থাকেন।

মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এক শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করে ইউক্রেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এতে সম্মতি দেয়নি।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।

মেরেজকো বলেন, ট্রাম্প এই মুহূর্তে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

ট্রাম্প গত মে মাসের শেষ দিকে বলেছিলেন, মস্কো সময়ক্ষেপণ করছে কিনা তা বোঝার জন্য দুই সপ্তাহ লাগবে। সে সময় তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সময় নষ্ট করে থাকেন, তাহলে আমরা ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো।

কিন্তু সেই সময়সীমা প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই পেরিয়ে গেছে।

সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জন ফোরম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার মনে হয় না, পুতিন সেই দুই সপ্তাহকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
সূত্র : দেশ রূপান্তর