খুলনা | শুক্রবার | ২৭ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

এস আই সুকান্ত দাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে : কেএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৪:০৬ পি.এম | ২৬ জুন ২০২৫


পুলিশের এস আই সুকান্ত দাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেএমপি মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারী গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কোর্টে চালান প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি এবং আদালতে একটি মামলা রয়েছে।

নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই সুকান্ত দাশ গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে চাকুরিতে যোগদান না করে পলাতক ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয়রা মারধর করে উপ-পরিদর্শক সুকান্ত কুমার দাসকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত। আদালতে একটি মামলার সাক্ষী দিতে খুলনায় এসেছিলেন তিনি। তার নামে খুলনা সদর থানায় ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়া বিএনপি’র নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ অন্তত চারটি মামলা চলমান রয়েছে।

পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এস আই সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙ্গে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা।

কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সদর থানায় দায়ের হওয়া শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুর মামলার তাকে গ্রেফতার  করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারী গ্রেফতার  সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে সময় লেগেছে। তাকে আদালতে চালানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।