খুলনা | রবিবার | ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

আড়ংঘাটায় মহিলা সমর্থক গোষ্ঠীর মতবিনিময়

সাড়ে ১৫ বছর শেখ পরিবার খুলনাকে লুটেপুটে খেয়েছে : বকুল

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০০ এ.এম | ২৮ জুন ২০২৫


বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছরে হাসিনার শাসন আমলে খুলনার কোন উন্নয়ন হয়নি। শেখ পরিবার খুলনাকে লুটেপুটে খেয়েছে। মিল কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত শিল্প নগরী আজ মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জনগণ রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর পর তিনি অল্প সময়ের মধ্যে দেশে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছিলেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ মানেই ছিল দুর্ভিক্ষ আর দুর্নীতি। 
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপি পরিবার মহিলা সমর্থক গোষ্ঠীর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি সংকট মোকাবিলায় বিএনপি দেশের হাল ধরেছে। ১৯৭১ সালে দেশের দুঃসময়ে ম্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা বেঈমানী করে ৮৬ এর নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে ৯ বছর স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দিয়ে স্বৈরাচার লুটেরা হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে যেভাবে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, বিগত ৫ আগস্ট পূর্ব সময়ে আ’লীগের দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার, অবিচার-অনিয়মের কারণে দেশে আবারও সেই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। বিএনপি’র প্রস্তাবিত ৩১ দফা রূপরেখা কেবল একটি রাজনৈতিক দলীয় ইশতেহার নয়, বরং এটি একটি জাতির মুক্তির দিকনির্দেশনা। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে যে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে, সেই ভাঙন মেরামতে এই রূপরেখাই যথেষ্ট। দেশে সুশাসন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপরেখা রয়েছে এই ৩১ দফার মধ্যে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই দেশে একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি প্রতিশ্র“তি দেন জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে এলাকায় একটি উন্নতমানে হাসপাতাল নির্মান করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মতলুবুর রহমান মিতুলের সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় ছিলেন আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রাসেলুজ্জামান রাসেলের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি এম মুরশিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এরপর সন্ধ্যায় খানজাহান আলী থানার মিরেরডাঙ্গা তেঁতুলতলা মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বিএনপি পরিবার মহিলা সমর্থক গোষ্ঠীর মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।