খুলনা | সোমবার | ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ভুয়া মামলার হয়রানি রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধি সংযোজন করা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা

খবর প্রতিবেদন |
০২:২৬ এ.এম | ৩০ জুন ২০২৫


ভুয়া মামলা দায়ের এবং মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে পক্ষভুক্ত করার চেষ্টা রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধি সংযোজিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে  তিনি একথা জানান। 
প্রেস ব্রিফিংয়ে  আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অ্যাডভাইজার কাউন্সিলের আজকের বৈঠকের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন। আমাদের সরকারের আমলে কিছু জিনিস নিয়ে আমরা নিজেরাই খুব বিব্রত, এবং এ বিষয়েগুলো নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করি। তেমনই একটি বিষয় হচ্ছে ভুয়া মামলা, এবং আরেকটি হচ্ছে মামলায় অকারণে নির্দোষ ব্যক্তিকে পক্ষভুক্ত করে মামলা বাণিজ্য করা। এ বিষয়টি থেকে পরিত্রাণ পেতে এটি নিয়ে আমরা ভেবে দেখেছি। বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ল' এক্সপার্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা, বৈঠক করে আমরা ফৌজদারি কার্যবিধির একটি বিধানে বড় একটি সংশোধনী এনেছি।’
তিনি বলেন, ১ ফৌজদারি কার্যবিধিতে যখন একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় তখন ইনভেস্টিগেশন করতে তিন-চার বছর লাগে, এখানে শত শত আসামি থাকেন, কিছু ক্ষেত্রে এখানে মামলা বাণিজ্যও হয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক)/১৭৩(অ) এই নতুন বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে-পুলিশ কমিশনার, এসপি বা কোনো জেলার এসপি পদমর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার এখতিয়ারাধীন কোনো মামলার বিষয়ে তিনি যৌক্তিক মনে করলে ইনভেস্টিগেশন অফিসার/তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর সেই মামলার তদন্তের ব্যাপারে প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারি ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেট তার বিবেচনাবলে নিরপরাধ ও যার বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধের কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই, তাদের প্রি ট্রায়াল বা বিচার পূর্ববর্তী স্টেজেই মামলা থেকে রেহাই দিতে পারবেন।’
ড আসিফ নজরুল জানান, আমরা আশা করছি এটি কার্যকর হলে পুলিশ ও আদালত প্রশাসন একসাথে কাজ করে এসমস্ত মামলায় গ্রেফতার বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এর ফলে নিরপরাধ ব্যক্তিরা ভুয়া মামলা থেকে রেহাই পাবেন। এর ফলে তদন্ত কিন্তু থেমে যাবে না, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
আজ (সোমবার) গেজেট প্রকাশিত হলেই আইনটি কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।  
স¤প্রতি কুমিল­ার মুরাদনগরে সংঘটিত একটি ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বরেন, মুরাদনগরে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যে কোন সাধারণ নাগরিকের মত আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ের সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান আসামি এর সাথে সাথে যারা এই ছবি বা ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মতন অত্যন্ত দায়িত্বহীন ও অপরাধমূলক কাজ করেছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।