খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫৫ পি.এম | ০২ জুলাই ২০২৫


ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় সংঘটিত গণহত্যা ও ৬ জনের লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে পলাতক সাবেক এমপি সাইফুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এছাড়াও আসামিদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্তের আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে আলোচিত এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। সেই সঙ্গে এদিন প্রিজন ভ্যানে করে গ্রেফতারি র পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি ও শহিদুল ইসলামসহ সাত আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ১৯ জুন আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় প্রসিকিউশন।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫ জন। এছাড়াও একজন গুরুতর আহত হন। পরে ৫ জনের লাশ এবং আহত একজনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

প্রসিকিউশন জানায়, এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় এখন ১১ জন আসামির নাম উল্লেখ করেছে প্রসিকিউশন।

আসামিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি, আশুলিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। এই ১১ জনের মধ্যে ৮ জন কারাগারে আছেন। এরমধ্যে বুধবার সাতজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বাইরে আরও একজন গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে একজনকে জীবিত ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি ভ্যানে তোলা হয়। এরপর সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তাদের তুলে পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের গাড়িতে এই ছয়জনকে (যার মধ্যে একজন জীবিত) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

ওই সময় যারা শহিদ হয়েছেন, তারা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি ও আবুল হোসেন। এছাড়া একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি (অজ্ঞাত)।