খুলনা-মোংলা ও বাগেরহাট মহাসড়কে ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক গুলোতে সম্পূর্ণ খোলামেলা পরিবেশে ধুলা বালুসহ বিভিন্ন প্রকার বালু বহন করা হচ্ছে। এতে পথচারী যানবাহন চালক ও স্ট্যান্ডে থাকা ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। চালকরা দ্রুতগতিতে ঢাকনা বিহীন ও খোলামেলা পরিবেশে ধুলাবালু বহন করায় বালু উড়ে তা চোখে মুখে লাগছে। কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ বারবার এসমস্ত চালকদেরকে খোলামেলা পরিবেশে বালু বহন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করলেও ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক চালকরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না। যে কারণে ছোটছোট যানবাহন চালক পথচারী ও স্ট্যান্ডে থাকা ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। 
জানা গেছে, স¤প্রতি সময়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ধুলাবালু দিয়ে ছোট্টছোট্ট নর্দমা পুকুর খানাখন্দর ভরাট করে সেখানে ঘরবাড়ি দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তায় বালু ভারাটের কাজ চলছে। আর এটিকে পুঁজি করে ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক চালকরা সেই সমস্ত স্থানে বালু ভরাটের কাজ করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাকে কোন প্রকার নেট বা ঢাকনা ব্যবহার না করেই বালু বহন করছে। আর সেই বালু উড়ে বা পড়ে মানুষের চোখে মুখে লাগছে অহরহ। স্থানীয়রা বারবার এই সমস্ত চালকদের খোলামেলা পরিবেশে বালু বহন না করার জন্য অনুরোধ করলেও চালকরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না। ফলে জনগণকে বাধ্য হয়েই এগুলি সহ্য করতে হচ্ছে। 
কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাচ্চু বিশ্বাস ও রবিউল ইসলাম রুবেলসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, ভোর ৬টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকাল ৫টা হতে গভীর রাত পর্যন্ত তারা খোলামেলাভাবে বালু বহন করে থাকে। কারণ এই সময়ে মহাসড়কে কোন পুলিশি চেকপোষ্ট থাকে না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তারা বেশি ট্রিপ দেওয়ার জন্য এগুলি করে থাকে। তাঁরা আরো বলেন যে যত বেশি ট্রিপ মারতে পারবে সে তত বেশি ইনকাম করতে পারবে। তাই দ্রুত ট্রিপ মারতে গেলে উপরে নেট দিলে সময় বেশি লাগে এ কারনে তারা ঢাকনা বা নেট ব্যবহার করে না। আবার কেউ কেউ দায়সারা ভাবে ট্রাকের সামনের অংশে কিছু নেট দিলেও পিছনের ফাঁকা থাকে। আর ফাঁকা থাকলে সারা রাস্তা বালু পড়ে বা উড়ে জনমানুষের চোখে মুখে লেগে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হয়। 
এব্যাপারে কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবু জাফর এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে বালু বহনকারী চালকদের বালু ঢেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। তাঁরা অনেকে ঢেকে নিচ্ছেন, আর যারা নিচ্ছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।