খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

বাগেরহাটের যাত্রাপুর বাজারে দোকান ভাড়া আদায়ে জটিলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
১১:৩২ পি.এম | ০২ জুলাই ২০২৫


বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর বাজারে ভাড়া আদায়ে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটের আংশিক দাবিদার বেগ মাহফুজুর রহমান বাদল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। তার জমির উপর থেকে প্রশাসন যাতে খাজনা আদায় না করে এবং তাকে ভাড়া আদায়ে বাঁধা-প্রদান না করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করেছেন। অভিযোগকারী মাহফুজুর রহমান বাদল রহিমাবাদ এলাকার মৃত ইউসুফ আলী বেগের ছেলে। তিনি যেন বাজার থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভাড়া আদায় করতে পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগকারী জানান, তার পিতা বেগ ইউসুফ আলী যাত্রাপুর হাটের .৮২ একর জমি আদালত থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। সরকার পক্ষ আপিল দাখিল করলে ১১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি খারিজ হয়। সরকার পক্ষ আবারও ওই জমিতে ইমারত নির্মাণ এবং ইজারা দেওয়ার চেষ্টা করলে অভিযোগকারী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ১৮ মার্চ আদালত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখা নির্দেশ প্রদান করেন। 
অভিযোগকারী আরো জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবং প্রাপ্ত .৮২ একর জমি পৃথক না করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাত্রাপুর হাট থেকে খাজনা আদায়ের চেষ্টা করছে। তাছাড়া তাদের বাজার থেকে ভাড়া আদায় করতে বাঁধা প্রদান করছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলাপ-আলোচনা করলেও কোন সমাধান হয়নি। 
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা সরকারি আইন কর্মকর্তা (জি.পি) এড. মোল­া মোজাফফর আলীর মতামতে উলে­খ করেন রাষ্ট্রপক্ষ এবং বেগ ইউসুফ আলীর মধ্যে চলা মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ চরম অবহেলা করেছে। পুনরায় আপিল করারও সুযোগ নেই। স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার রায় ডিগ্রী পূর্বেই অমান্য করা হয়েছে। বেগ ইউসুফ আলীর পক্ষ ারড়ষধঃরড়হ ড়ভ পড়ঁৎঃং ড়ৎফবৎ ধসড়ঁহঃং ঃড় পড়হঃবসঃ ড়ভ পড়ঁৎঃ এর অভিযোগে মোকাদ্দামা দায়ের কিংবা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে অবস্থাগতভাবে প্রতিকার পাবেন। তাছাড়া হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের অস্তিত্ব সম্মান রক্ষার স্বার্থে ওই মোকাদ্দামায় প্রতিকার দিতে অত্যন্ত সজাগ সচেতন রয়েছেন। 
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন যাত্রাপুর বাজারে যে ৮২ শতক জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে ওই জমি ছাড়াই ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ওই জমি থেকে উভয় পক্ষকে ৬ মাসের জন্য খাজনা আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বাজারের অন্যান্য যে জমি রয়েছে সেখান থেকে ইজারাদার নিয়ম অনুযায়ী খাজনা নিতে পারবে। বিবাদমান বিষয়ে আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।