খুলনা | বুধবার | ১৬ জুলাই ২০২৫ | ১ শ্রাবণ ১৪৩২

পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না, চাকুরিতে পদত্যাগের সুযোগ নেই

নগরে ১০ মাসে ২৬ হত্যাকান্ড : কেএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:২০ এ.এম | ০৯ জুলাই ২০২৫


খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার বলেছেন, বিগত ১০ মাসে খুলনা মহানগরী এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দু’টি মরদেহ নদীতে ভেসে আসায় ওই দু’টি হত্যাকাণ্ডের মামলা নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামিদের আটক করা হয়েছে। বাকি দু’টি মামলা তদন্তনাধীন রয়েছে। তবে তদন্ত কাজে অগ্রগতি আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কেএমপির সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ সময় কেএমপি কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলন বিষয়ে কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না। মনোবল ভেঙে গেলে পুলিশ আর কাজ করতে পারবে না। চাকুরিতে পদত্যাগের সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ চাইলে আমাকে বদলি করতে পারে। সেজন্য আমি প্রস্তুত আছি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। চাপ দেওয়া বা দাবি আদায়ের নামে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা সমিচীন হবে না। 
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদকের বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেন সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবকসহ সবাইকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী এক দিন বাদে এক দিন চলাচলের ব্যবস্থা করার বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আবু তারেক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।