খুলনা | বুধবার | ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

নওয়াপাড়া সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
০২:০৩ এ.এম | ০৯ জুলাই ২০২৫


যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া কর সার্কেল-১১ এর সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়ে আদালত। মঙ্গলবার সিনিয়র স্পেশাল জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ খুলনার খালিশপুর থানার বয়রার পালপাড়া রোডের আলাউদ্দীন আহমেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের পিপি এড. আশরাফুল আলম বিপ্লব। 
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নওয়াপাড়া কর সার্কেল-১১ এ প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের ২২ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার হিসেবে অফিস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত থাকাকালীন ওই অফিসের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব নম্বর ছিলো না এবং অদ্যাবধি কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয়নি। মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ সরকারি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে সোনালী ব্যাংক পিএলসি নওয়াপাড়া শাখায় উপ-কর কমিশনার সার্কেল-১১ এর নামে একটি চলতি হিসাব নম্বর খোলেন। এরপর তিনি ১০টি পে-অর্ডার ও ৩টি ডিডি’র মাধ্যমে আয়কর বাবদ জমাকৃত ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ব্যাংকের ওই হিসাবে রেখে দেন। পরবর্তীতে তিনি তার নিজ স্বাক্ষরিত ৬টি চেকের সাহায্যে ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ২মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উলি­খিত ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ২০২২ সালের ২৭ মার্চ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে অভিযুক্ত করে ২০২৪ সালের ২৬ জুন আদালতে চার্জশিট জমাদেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মোজবাহ উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদনের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।