খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১০ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন পলক

খবর প্রতিবেদন |
০৩:০৭ পি.এম | ০৯ জুলাই ২০২৫


নিজ এলাকার কিছু লোক মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

এ দিন তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দুই মামলায় পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে মাথায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় পলককে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন পলক। পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।

ওই সময় আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তার স্বজনরা। বাইরে তাকিয়ে তাদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলার চেষ্টা করেন পলক। এক পর্যায়ে তাদের দিকে তাকিয়েই কাঁদতে শুরু করেন তিনি।

শুনানি শেষে পলককে যখন আবার হাজতখানায় নেওয়া হয়, তখনও তাকে বিমর্ষ দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলক আদালতে এসে খবর পান যে, তার এলাকার কিছু লোক মারা গেছে। এজন্য তিনি শোকাহত হন এবং কাঁদতে থাকেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেফতার হন। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় বারবার তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী তরুণ নেতাদের একজন পলক। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় তিনি আলোচিত ছিলেন। গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করায় তিনি ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত হন।