খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১০ জুলাই ২০২৫ | ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

তেরখাদায় পুলিশের ওপর হামলায় কারাগারে ১৫ আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৩ এ.এম | ১০ জুলাই ২০২৫


খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামে পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ১৫ জন অভিযুক্ত বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৯ জুন দুপুরে তেরখাদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি নিয়মিত সাধারণ ডায়েরির অনুসন্ধানে বারাসাত গ্রামে অভিযানে যান। অভিযানের সময় তালিকাভুক্ত আসামি মোঃ পলাশ শেখকে চায়ের দোকানের পেছন দিক থেকে আটক করা হয়। তবে গ্রেফতারের মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পলাশ শেখের চিৎকারে সাড়া দিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ প্রায় ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পলাশকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলায় এসআই রথীন্দ্রনাথ পোদ্দার, কনস্টেবল সোহেল রানা ও জয়ন্ত রায়সহ একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন। কনস্টেবল সোহেল রানার মাথায় রামদা দিয়ে কোপ মারার চেষ্টা করলে সেটি ডান বাহুতে লাগে, ফলে তিনি মারাত্মক জখম হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই দিনই এসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উলে­খ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আত্মসমর্পণকারী ১৫ জন আসামি হলেন আকাশ মোল­া, শিমুল ফকির, সাইদ মোল­া, জিকু মোল­া, টুটুল মোল­া, জুয়েল মোল­া, ইমরান খলিফা, মুক্তার শেখ, ইব্রাহিম শেখ, রুবেল শেখ, মুরাদ শরীফ, আকাশ মোল­া (২য়), ওবায়দুল মোল­া, রহমান শেখ এবং তাকিদ মোল­া। খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মোঃ নাজমুল আহসান শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও বাধা প্রদান অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং পলাতক আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ ধরনের ঘটনা জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।