খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

১৩৪ প্রতিষ্ঠানে পাশ করেনি কেউ, শতভাগ পাস ৯৮৪ টিতে

খবর প্রতিবেদন |
০৩:০৬ পি.এম | ১০ জুলাই ২০২৫


চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ এ বছর ৩ হাজার ৭১৪টি কেন্দ্রে মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন৷ এর মধ্যে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি৷ সেই হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি৷

অন্যদিকে দেশের ৯৮৪টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। ফলে এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ—এই ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।

এবারও ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সে হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে কমেছে।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। এ বছর মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৭১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেয় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন পরীক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ কম। এবার ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।

প্রতিবছরের মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। তবে সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।