খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

ভোটে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ইসি সানাউল্লাহ

খবর প্রতিবেদন |
০৫:২০ পি.এম | ১০ জুলাই ২০২৫


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি তদারকি করবেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) তাহমিদা আহমদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত, প্রশিক্ষণ ও তদারকির লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– ইসির সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ), যুগ্মসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২), সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২)। এ কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।

কমিটির কার্যপরিধি–
ক) জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা/ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত, তদারকি এবং প্রযোজ্য সংশোধন বিষয়াদি;

খ) যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যাবলী তদারকি;

গ) নির্বাচনী কর্মকর্তা/ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি তদারকি ও সমন্বয়;

এবং ঘ) প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– ইসির সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, প্রকল্প পরিচালক, আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়), যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ), যুগ্মসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২),সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২)। কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।

কমিটির কার্যপরিধি–
ক) নির্বাচন পরিচালনা কাজের জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ;

খ) নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিতব্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের তদারকি ও সমন্বয়;

গ) পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, সশস্ত্র বাহিনী, আনসার ও অন্যান্য সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিতকরণ;

ঘ) ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন;

ঙ) ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহণ, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান;

চ) নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সম্ভাব্য সহিংসতা, সন্ত্রাস বা বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা নিরূপণ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং

ছ) প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি।

আগামী এপ্রিলের মধ্যে ভোট আয়োজনে সব প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে ইসি। তাই তফসিল ঘোষণার পর যাতে দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা।