খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

শুধু কেন্দ্র নয় পুরো আসন বাতিলের ক্ষমতা চায় ইসি

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩২ এ.এম | ১১ জুলাই ২০২৫


ভোটে অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে এখন শুধু নির্বাচনী কেন্দ্র বাতিলের ক্ষমতা থাকলেও, সম্পূর্ণ একটি আসনের নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা এক সময় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির পক্ষ থেকে পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আশা প্রকাশ করেছেন, সরকার ইসিকে এ বিষয়ে আগের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভোটে কারচুপি হলে কেন্দ্র বাতিলের ক্ষমতা আমাদের ছিল আমাদের যেটা ছিল না সেটা হচ্ছে পুরা নির্বাচনী আসনের ভোট বন্ধ করা। যেটা একসময় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল; এটাও আমরা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছি এবং আশা করি আমরা এটা ফেরত পাব।

তিনি আরও বলেন, হলফনামায় এখন অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, রোববার সেক্রেটারির কাছ থেকে একটি সংশোধিত কপি সংগ্রহ করে দেখবেন। এখনও কিছু সংশোধন হচ্ছে। এই সংস্করণে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে তা ঘোষণা দিতে হবে, সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রেও প্রার্থীর সারাজীবনের মামলা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।

ইসি বলেন, নিকট আত্মীয় বলতে আরপিওতে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা নির্ভরশীল যেমন: ভাই, বোন, ইত্যাদি তাদের সম্পত্তির বিবরণও জমা দিতে হবে।

হলফনামায় তথ্য গোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরপিওতেই রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন একটি সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, হলফনামা জমা দেওয়ার সময় থেকে তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথমত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত সময়; দ্বিতীয়ত, নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনকালীন সময়; তৃতীয়ত, অফিস ত্যাগ করার পরবর্তী সময়কাল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে শুধু প্রথম পর্যায়ের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আমাদের সেই সুযোগ নেই। আমরা চাই, যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়ে থাকেন, তবে কমিশন যেন সেই অফিস পুনরুদ্ধার বা জবাবদিহির আওতায় আনার ক্ষমতা থাকে। এজন্য আমরা একটি সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছি।