খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৪৫ পি.এম | ১১ জুলাই ২০২৫


পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি বাস থামিয়ে নয়জন যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেলুচিস্তানের ঝোব শহরের কাছে সশস্ত্র হামলাকারীরা বেলুচিস্তান থেকে পাঞ্জাবগামী একটি বাস থামিয়ে এই যাত্রীদের তুলো নিয়ে যায়। পরে রাতে নিকটস্থ একটি পাহাড়ে তাদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।

আরেক সরকারি কর্মকর্তা নাভিদ আলম জানিয়েছেন, নিহত যাত্রীদের সবাই পাঞ্জাবের বাসিন্দা এবং পাঞ্জাবি শনাক্ত হওয়ার পরই তাদের হত্যা করা হয়েছিল। নিহতদের মরদেহ বেলুচিস্তানের বরখান জেলার রেখনি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাকিস্তনের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এ ঘটনার জন্য ভারতকে দায়ী করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। নিরীহ নাগরিকদের হত্যা ফিতনা-আল-হিন্দুস্তানের একটি স্পষ্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’

তিনি বলেন, ‘সংকল্প, ঐক্য এবং শক্তির সঙ্গে আমরা সন্ত্রাসবাদের অভিশাপ মোকাবেলা করব এবং একে সম্পূর্ণরূপে উপড়ে ফেলব।’

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

অন্যদিকে বেলুচিস্তান প্রদেশের নিষিদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মুসাখাইল-মাখতার এবং খাজুরির মধ্যবর্তী মহাসড়ক অবরোধ করে তাদের যোদ্ধারা নয়জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।

বিএলএ পাকিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা বেলুচিস্তানের জন্য হয় অধিক স্বায়ত্তশাসন নয়তো স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। তারা ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, সরকার বেলুচিস্তানের সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের শোষণ করছে এবং একইসঙ্গে প্রদেশটির উন্নয়নকে উপেক্ষা করছে। গত মার্চে গোষ্ঠীটি একটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকে ২১ জন সাধারণ নাগরিক এবং চারজন সামরিক সদস্যকে হত্যা করেছিল। 
সূত্র: ডন, আলজাজিরা