খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

তালায় কপোতাক্ষ নদের ভেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্কে ৭ গ্রামের মানুষ

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |
১২:৩০ এ.এম | ১২ জুলাই ২০২৫


কপোতাক্ষ নদের ভেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙনে তালা উপজেলার ডুমুরিয়া, বালিয়া ও শাহজাতপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল যে কোন মুহূর্ত্বে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় অধিবাসিদের মধ্যে। খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস প্রদান করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, নদীর তীব্র স্রোতে তীরবর্তী বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। বালিয়া ভাঙনক‚ল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমিতি থেকে ইতিমধ্যে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এটি অস্থায়ী সমাধান এবং চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য, স্থায়ী বাঁধ সংস্কারে সরকারি অর্থ বরাদ্দ অত্যাবশ্যক। স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কার না করলে বর্ষা মৌসুমে ডুমুরিয়া, শাহজাতপুরসহ অন্ততঃ সাতটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম লিয়াকত হোসেন জানান, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিকবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, কপোতাক্ষ নদের যে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেটি এলজিইডির আওতাধীন। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে সেখানে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।
তালা উপজেলা প্রকৌশলী (প্রকৌশলী) রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, বালিয়া ভাঙনক‚ল সমবায় সমিতির কাছে বাঁধটি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক মেরামতের কাজ শুরু করেছে।। পাশাপাশি এলজিইডির পক্ষ থেকেও বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।