খুলনা | বুধবার | ১৬ জুলাই ২০২৫ | ১ শ্রাবণ ১৪৩২

দেবহাটায় বিধবা নারীকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |
১১:৩৪ পি.এম | ১২ জুলাই ২০২৫


দেবহাটার চন্ডিপুরে এক বিধবা নারী জমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগী। শনিবার  দেবহাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আবুল সরদারের স্ত্রী রমিছা খাতুন (৬৫)। 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বিবাহের পর থেকে স্বামীর বসতভিটায় বসবাস করে আসছি। আমাদের সংসারে কোন পুত্র সন্তান না থাকায় আমার স্বামীর রেকর্ডীয় বসতঘরসহ ৪ শতক জমি ২০০০ সালে আমার মেয়ে শাহিনার খাতুনের নামে কোবলা দলিল করে দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরে মেয়ের অন্যত্র বিবাহ হয়ে যায়। তারপর আমি একা হয়ে পড়লে কিছু কুচক্রি ব্যক্তিরা আমার জমি দখলে নিতে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও হয়রানির করতে থাকে। এক পর্যায়ে উক্ত বসতভিটা বিক্রি করে অন্যত্র জমি কিনে সেখানে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় চন্ডিপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মুসলিম আলী নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য বাধ্য করে এবং বায়নাপত্র করে নেন। কিন্তু অন্য কোথাও বসতভিটা ক্রয় করতে না পারায় আমি জমি বিক্রি করবো না জানিয়ে জমির বায়নার টাকা ফেরত দিতে গেলে মুসলিম আলী আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সে বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করে আসছে এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুরের করছে। বৃষ্টির মধ্যে আমার মাটির ঘরের ছাউনি কেটে দিয়েছে সে। এছাড়া রান্না ঘরের চাউনির খুলে দিয়েছে। এতে করে আমার রান্না খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমি অসহায় হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে যেয়েও কোন সুবিচার পাইনি। মুসলিম আলীর সাথে দেবহাটা পুলিশের ভালো সম্পর্ক হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আমি এখন মুসলিমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বর্তমান আমার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। আমি অসহায় হয়ে বাড়িতে ভয়ে ভয়ে জীবন যাপন করছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই স্বাধীন দেশে কি আমরা এটা চেয়েছিলাম। 
এ ব্যাপারে মুসলিম আলীর নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র থেকে রেহায় পেতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার, দেবহাটা থানার ওসি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।