খুলনা | সোমবার | ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

খবর প্রতিবেদন |
০২:১৪ এ.এম | ১৪ জুলাই ২০২৫


রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মোঃ ফাতেহ আলী (৬১) ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত অপর তিন আসামি হলেন-আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল­া মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। 
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আদালত মামলার চার্জশিট দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
গত ২৭ মে আনুমানিক ভোর ৫টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল­া মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এস আই আসাদুজ্জামান। 
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল­া মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্র“প পরিচালনা করতো। সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। পরে সে ভারত পালিয়ে যায়। ৫ আগস্টের পর সে দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করে। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা হতে একইদিন বিকেলে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মোঃ আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।