খুলনা | মঙ্গলবার | ১৫ জুলাই ২০২৫ | ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশী জলসীমায় অনুপ্রবেশ

মাছ শিকারের অপরাধে নৌবাহিনীর হাতে ৩৪ ভারতীয় জেলে আটক দুইটি ফিশিং ট্রলার জব্দ

মোংলা প্রতিনিধি |
০২:০৭ এ.এম | ১৫ জুলাই ২০২৫


বঙ্গোপসাগরের দেশীয় জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বাংলাদেশের সীমানায় এসে মাছ শিকারের অপরাধে ৩৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে মোংলা নৌবাহিনীর সদস্যরা। জব্দ করা হয়ে দুইটি ফিশিং ট্রলার। সোমবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে ট্রলার ও জেলেদের আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দ্বিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়েছে। সেখানে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও নাম পরিচয় শনাক্ত শেষে রাতে আটককৃতদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে। মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। 
তিনি বলেন, সোমবার (১৪ জুলাই) গভীর রাতে সমুদ্রে নিয়মিত টহলদান শেষে ফেরার পথে সাগরের পশ্চিম দিকে মোংলা সমুদ্র বন্দরের ফেয়ার ওয়ে বয়ার ৭৭ নটিক্যাল মাইল বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ভারতীয় বেশ কয়েকটি ফিশিং ট্রলার মাছ শিকার করতে দেখে নৌবাহিনী। এ সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারগুলো আটকের জন্য সামনের দিকে আগ্রসর হলে নৌবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ভারতীয় জেলেরা তাদের ব্যাবহৃত ট্রলার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে “এফবি ঝড়” ও “এফবি মঙ্গল চন্ডি-৩৮” নামের ভারতীয় দু’টি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে সেই ট্রলার থেকে ৩৪ ভারতীয় জেলেসহ মাছ ধরার অন্যান্য সরঞ্জামাদী আটক করে নৌবাহিনী। ট্রলার দু’টিতে শিকার করা কয়েকশ’ কেজি সামুদ্রিক মাছ রয়েছে। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে মোংলায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 
মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রতি বছর ইলিশ মৌসুম এলেই ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসিমায় এসে তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের প্রশাসনও ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থেকে তাদের টহল জোরদার রেখেছে। বিভিন্ন সময় আটকও করছে ভারতীয় জেলেসহ তাদের জাল, ট্রলারসহ ব্যাহৃত হরেক রকমের সরঞ্জাম। সোমবারও ২টি শিফিং ট্রলার বোঝাই মাছসহ জেলেদের আটক করা হয়েছে। ট্রলারে থাকা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ নিলামে বিক্রি করা হবে বলেও জানায় মৎস্য কর্মকর্তা। 
দেশীয় জলসীমার আওতাভুক্ত এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, দস্যু দমন, সুন্দরবনের বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, চোরাচালান ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত এ অভিযান চলবে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানা যায়।