খুলনা | মঙ্গলবার | ২২ জুলাই ২০২৫ | ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

আহত শিক্ষকের মুখে বিমান বিধ্বস্তের বিভীষিকা

বিকট শব্দের পর সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন মুহূর্তেই ঝলসে যায় মুখ-কান

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪০ এ.এম | ২২ জুলাই ২০২৫


‘আমার হাত পুড়ে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমার মুখ ও কান ঝলসে গেছে। ঘটনাটি এতোটাই আকস্মিক ছিল যে কারোরই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ ছিল না।’
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা একজন আহত শিক্ষক এমন ভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
ওই শিক্ষক বলেন, এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিলেন। কী ঘটছে, তা বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই দৃষ্টিসীমা কমে আসল। আমি শুধু আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম, তারপর ধোঁয়া...। আমার হাত পুড়ে গিয়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমার মুখ ও কান ঝলসে গেছে।
পরে ওই শিক্ষক দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নিজের নাক ঢাকেন। তিনি বলেন, কাছে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বললাম। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।
এই শিক্ষকের সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাদের ভেতর গুরুতর দগ্ধ একজনকে সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।
আহত ওই শিক্ষক বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কিছু অংশে চামড়া ওঠে গিয়েছিল। আমি আমার পরা কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। আমি নিজেও যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে স্থির রেখে অন্যদের শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম।
বিমান আছড়ে পড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান ওই শিক্ষক। কথা বলার সময় ওই শিক্ষকের কণ্ঠ কাঁপছিল। তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য।