খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৪ জুলাই ২০২৫ | ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ: ডব্লিউএফপি

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০১ পি.এম | ২২ জুলাই ২০২৫


ইসরাইলি অবরোধের কারণে গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বেশ কয়েক দিন ধরে কিছুই খায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন ডব্লিউএফপির জরুরি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া বিষয়ক পরিচালক রস স্মিথ। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

তিনি বলেছেন, ‘গাজায় খাদ্য সঙ্কট হতাশার নতুন এবং বিস্ময়কর স্তরে পৌঁছেছে। উপত্যকার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই টানা কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে।’ বিশ্ব খাদ্য কমূসূচির হিসাব অনুযায়ী, গাজার জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। এক লাখ নারী ও শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

গত ২ মার্চ থেকে, ইসরাইল গাজার সবগুলো সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল সরকার।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে ৭৬ জন শিশুসহ ৮৬ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

এরআগে, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে জানায়, গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে; যা তাদের প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি অনেক মা এতটাই অপুষ্টিতে ভুগছেন যে সন্তানকে দুধও খাওয়াতে পারছেন না। এতে বাড়ছে নবজাতকদের মৃত্যুঝুঁকি। গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশে বাধা থাকায় হাজার হাজার শিশু চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল।

গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চালানো ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে।

গাজা্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৪ জনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতের সংখ্যা এক হাজার ১৫৫ জন। এ নিয়ে ইসরাইলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা এক লাখ ৪২ হাজার ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।