খুলনা | রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

গুলিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশির মরদেহ ২১ ঘণ্টা পর ফেরত দিল বিএসএফ

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৩ পি.এম | ২৬ জুলাই ২০২৫


বিএসএফের গুলিতে নিহতের ২১ ঘণ্টা পর ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বাংলাদেশি ইয়াছিন লিটনের (৪০) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিলোনিয়া চেকপোস্ট এলাকায় তার মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এ সময় বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে লিটনের বাবা মনির আহম্মদ ছেলের মরদেহ গ্রহণ করেন।

এ সময় ফেনী ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, বিএসএফের ৪৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এএস বীরেন্দ্র সিং, পরশুরাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম, ভারতের বিলোনিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবু রঞ্জন দেসহ বিজিবি-বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরশুরাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, রাতে বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তর করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের ইউছুফ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন মিল্লাত (২০) ও মনির আহমদের ছেলে মো. ইয়াছিন লিটন (৪৫)। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিবেশী মৃত এয়ার আহম্মদের ছেলে মো. আফছার (৩০) নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩এস পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে তারকাঁটা বাউন্ডারির কাছে যান লিটন, মিল্লাত ও আফছার। তখন তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফের সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ লিটনকে ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ। সেখানে বিলোনিয়ার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মিল্লাত ও আফছারকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাতের মৃত্যু হয়।