খুলনা | রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

খুলনায় গণসমাবেশে চরমোনাই পীর

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৮ এ.এম | ২৭ জুলাই ২০২৫


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না, জবাবদিহিতামূলক সরকার কায়েম হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ গঠন হবে। জবাবদিহিতার অভাবেই ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ক্ষমতার মেরুকরণ হ্রাস পাবে এবং সংলাপের সংস্কৃতি সৃষ্টি হবে। 
শনিবার  বেলা ১১টায় নঘরীর শিববাড়ী মোড়ে দলটির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করা, পতিত ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, বন্ধ মিল-কলকারখানা চালু ও ইসলামি সমাজ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নগরের সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সহসভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব ও নগর সেক্রেটারি খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি ইমরান হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় চরমোনাইর পীর বলেন, ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোয়া এখনো দেশকে অনিরাপদ করে রেখেছে। পতিত স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করে সুযোগ নেওয়ার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায়, বক্তব্যে ও মন্তব্যে শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। কারণ কোনো অবস্থাতেই পতিত ফ্যাসিবাদকে কোনো সুযোগ করে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশ গঠনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন বলে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সেই সংস্কার হতে হবে রাষ্ট্রের কাঠামোতে, আইনে এবং রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে। রাষ্ট্রের কাঠামো ও আইনি সংস্কারের কাজ কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক চরিত্র ও সংস্কৃতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসে নাই।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে রাজনৈতিক হানাহানিতে নিহত-আহত মানুষের সংখ্যা শুনে আঁতকে উঠতে হয়। চাঁদাবাজি কোনো অর্থেই কমেনি। সন্ত্রাসও কমেনি। বরং রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যে বর্বরতায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে জনতা ফুঁসে উঠেছে স্বাভাবিক কারণেই। জনতার সেই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বর্বর সেই হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করে ফেলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে মানুষ এ ধরনের রাজনীতি দেখতে চায় না।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরো বলেন, ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনো দেশকে অনিরাপদ করে রেখেছে। পতিত স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করে সুযোগ নেয়ার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে একই সাথে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায়, বক্তব্যে ও মন্তব্যে শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কোন অবস্থাতেই পতিত ফ্যাসিবাদকে কোন সুযোগ করে দেয়া যাবে না। 
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশ গঠনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন বলে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সেই সংস্কার হতে হবে রাষ্ট্রের কাঠামোতে, আইনে এবং রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে। রাষ্ট্রের কাঠামো ও আইনী সংস্কারের কাজ কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক চরিত্র ও সংস্কৃতিতে তেমন কোন পরিবর্তন আসে নাই।  
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মুফতি মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শুয়াইব হোসেন ও খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান।
আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি এড. জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, জেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ ইমরান হুসাইন, এনসিপি মহানগর সংগঠক হামিম রাহাত, এনসিপি জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহানগর সভাপতি মুফতি শরীফ সাইদুর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ শহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস মহানগর সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ, সেক্রেটারি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ জুবায়ের, হেফাজত ইসলাম মহানগর সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ জলা সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সেক্রেটারি মোঃ রাশেদ, এবি পার্টি জেলা সেক্রেটারী মোঃ আকতার হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মহানগর সভাপতি বীরেন ঘোষ, সেক্রেটারি গোপাল, পূজা উদ্যাপন পরিষদ মহানগর সেক্রেটারি প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, জমিয়াত উলামায়ে ইসলাম মহানগর সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, আমজনতা পার্টির জেলা আহŸায়ক সাইফুল্লাহ বাবু, খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এফএম নাজমুস সাউথ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর সহ-সভাপতি আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মাওলানা আবু সাঈদ, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, এস এম রেজাউল করিম, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, মাওলানা হারুন আর রশিদ, মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মুফতি আশরাফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সৈকত, মুফতি এনামুল হাসান সাঈদ, মোঃ হুমায়ুন কবির, মাস্টার জাফর সাদেক, মুফতী ইসহাক ফরীদি, মুফতী আজিজুর রহমান সোহেল, জাহিদুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, মাওলানা মাহবুবুল আলম, এড. কামাল হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফ আলী, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মোহাম্মদ নুরুল হুদা সাজু, কারী মোঃ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, মাওঃ নাসিম উদ্দিন, মুফতি ফজলুল হক, জিএম কিবরিয়া, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, বন্দ সরোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবু দাউদ, মোঃ বাদশা খান, শফিকুল ইসলাম, মারুফ হোসেন, ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মুফতী আমানুল্লাহ, মোঃ আবু রায়হান, এইচ এম আরিফুর রহমান, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন, গাজী মিজানুর রহমান, মাওলানা ওমর আলী, মোঃ মঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, আব্দুস সালাম, আমজাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম মামুন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ মিরাজ মহাজন, মাওলানা আহাম্মদ আলী, হাফেজ ক্বারিমুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আলী আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা জি এম এমদাদুল হক (এমএ), মাওলানা মোঃ মাহাবুবুল আলম, এস এম আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা  তাওহিদুল ইসলাম মামুন, মোঃ আব্দুর রশিদ, মুফতি ফজলুল হক, মোঃ মাহদী হাসান মুন্না, মোহাম্মদ ফাহাদ মোল্লা প্রমুখ।  
গণসমাবেশে খুলনার ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হাত পাখার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।  প্রার্থীরা হলেন খুলনা-১ (দাকোপ- বটিয়াঘাটা) মাওলানা আবু সাঈদ, খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) মুফতি আমানুল্লাহ, খুলনা-৩ (খালিশপুর - দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা), হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, খুলনা-৪ (রূপসা- দিঘলিয়া-তেরখাদা)  হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) মুফতি আব্দুস সালাম ও খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিব।