খুলনা | রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

সাংবাদিক নঈম নিজামসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৯ পি.এম | ২৭ জুলাই ২০২৫


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এই আদেশ দেন। পরোয়ানা জারিকৃত অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সিআইডি। গত ২ জুন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করা হয়। আসামিদের আজ আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। তবে তারা হাজির হননি। বাদীপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ২৮ আগস্ট গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নঈম নিজামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন- ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান। গত বছরের ২০ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম।

মামলা অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। খবরটি অনলাইনেও প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।

এছাড়াও আসামিরা ব্যারিস্টার সরোয়ারকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা হিসেবে উল্লেখ করে সেসব তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন৷ মামলায় সারোয়ার বলেছেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সারোয়ার বলেন, ফেসবুক পেজ ভাইরাল প্রতিদিনে তাকে নিয়ে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে লেখা হচ্ছে।