খুলনা | শুক্রবার | ০১ অগাস্ট ২০২৫ | ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ নদের সাঁকো ভেঙে দু’পারের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কেশবপুর প্রতিনিধি |
০১:৫৬ এ.এম | ৩০ জুলাই ২০২৫


যশোরের কেশবপুর উপজেলায় মধুকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে কপোতাক্ষ নদের ওপর বাঁশের সাঁকোয় শ্যাওলা জমে ভেঙে পড়েছে। এর ফলে সাগরদাঁড়ি ও ওপারের সারসা গ্রামের হাজারও মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ নেন।
সংশ্লিষ্ট স‚ত্রে জানা যায়, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে ব্রিজ না থাকায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কেশবপুর ও তালা উপজেলার হাজারও মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে কপোতাক্ষ নদের বাঁশের সাঁকো। এ সাকো দিয়ে প্রতিদিন কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি, শেখপুরা, রেজাকাটি, বগা, মহাদেবপুর ও তালা উপজেলার সারসা, সরুলিয়া, সেনেরগাতি, ধানদিয়াসহ ২০/২৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। সাগরদাঁড়িতে রয়েছে কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ পথচারীদের চলাচলে বাঁশের সাকোটি ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া, সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সাগরদাঁড়িতে হাট বসে। এ হাটে ওপারের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বেচাকেনা করে থাকেন। এ ছাড়া প্রতিদিন সাগরদাঁড়িতে পর্যটক আসেন। এ কারণেই বাঁশের সাঁকোটির গুরুত্ব অপরিসীম। 
এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাত আলী জানান স¤প্রতি অবিরাম বর্ষণে কপোতাক্ষ নদেও স্রোত অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। উজান থেকে নেমে আসা শ্যাওলা ও কচুরিপানার চাপে সাঁকোটি ভেঙে নদে বিলীন হয়ে যায়। এতে দুই পারের হাজারও মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাগরদাঁড়ি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক আহমেদ রাজু বলেন, চলতি বছরের শুরুতে মধুকবির জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে দুই উপজেলার মানুষের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করা হয়েছিল। উজানের বিপুল পরিমাণের শ্যাওলা আটকে সাঁকোটি আবারও ভেঙে পড়ে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দু’পারের মানুষ কপোতাক্ষ নদের ওপর ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতেন। কিন্তু সেটা ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে দু’পারের মানুষ। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছেন। 
সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, ওই স্থানে সেতু নির্মাণে ম্যাপসহ কারিগরি প্রতিবেদন তৈরি করে উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেতু নির্মাণে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের কাঠের সাঁকোতে শ্যাওলা বেধে সাঁকোর স্থায়িত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। সাঁকোর অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।