খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৪ অগাস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

ইউনূস-আনোয়ার যৌথ সংবাদ সম্মেলন

মিয়ানমারে শান্তি মিশন পাঠাবে মালয়েশিয়া ও তার আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলো

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৪ এ.এম | ১৩ অগাস্ট ২০২৫


শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য মিয়ানমারে একটি যৌথ প্রতিনিধিদল পাঠাবে মালয়েশিয়া ও কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ। মালয়েশিয়া সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এ ঘোষণা দেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই মিশন পাঠানো হতে পারে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। এত বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গার আশ্রয়স্থল হিসেবে কক্সবাজার হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরের সূচনায় রোহিঙ্গাদের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানালেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা অবশ্যই একটি বড় অগ্রাধিকার। একই সঙ্গে দুর্ভোগে থাকা শরণার্থী এবং ভূমিকম্প-দুর্গত মানুষের জন্য দ্রুত মানবিক সহযোগিতাও প্রয়োজন।
বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মিয়ানমার মিশন সমন্বয় করবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই মিশন পাঠানোর কথা রয়েছে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভরণ পোষণে বাংলাদেশের ওপর যে বোঝা চাপানো হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসবাস। তাঁদের বেশির ভাগই মুসলিম। জাতিসংঘ বলেছে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতার কারণে গত ১৮ মাসে সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠীর প্রায় দেড় লাখ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আগামী ফেব্র“য়ারির মাঝামাঝি সময়ে নতুন সরকারের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করব। 
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেশকে স্বাভাবিকভাবে পরিচালনার পথে ফিরিয়ে আনতে পারবো। এজন্য আমাদের অনেক সহায়তা প্রয়োজন এবং আমরা মালয়েশিয়ার সহায়তা প্রত্যাশা করছি।
এ সময় বাংলাদেশে মালয়েশিয়াকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এখানে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বড় সংকট। এ সংকট সমাধানে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সাহায্য চাই।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক : মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সেদেশের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে পুত্রজায়ার পার্দানা পুত্রা ভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এ সময় উভয়ে দু’দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর এবং কৌশলগত ভবিষ্যতমুখী অংশীদারিত্বে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রথমে দুই নেতা একান্ত বৈঠক করেন। এরআগে সীমিত সংখ্যক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনশক্তি ও জ্বালানি সহযোগিতা, নীল অর্থনীতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিস্তৃত পরিসরের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে ইতিহাস, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক সহানুভূতির ভিত্তিতে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। মানবসম্পদ, বাণিজ্য ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অনন্য অংশীদার।’   
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অধ্যাপক ইউনূসকে ‘মালয়েশিয়ার বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা এবং গত এক বছরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁর প্রশংসা করেন। তিনি বাণিজ্য স¤প্রসারণ এবং প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণ, শিক্ষা এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।   
একান্ত বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস প্রটোকল জটিলতার আওতায় আটকে পড়া ৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ প্রদান এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর জন্য মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। এর ফলে শ্রমিকরা জরুরি প্রয়োজনে দেশে ফিরে গিয়েও চাকরি হারানোর ঝুঁকি এড়াতে পারবেন বলে তিনি উলে­খ করেন।  
দুই পক্ষই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে খরচ কমে এবং শ্রমিকদের কল্যাণ সুরক্ষিত হয়।  
প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনায় আইন, বিচার ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াকে সরকার-টু-সরকার কাঠামোর মাধ্যমে আরও বেশিসংখ্যক দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবী, যেমন চিকিৎসক ও প্রকৌশলী নিয়োগের আহŸান জানান। তিনি উলে­খ করেন যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বোয়েসেল বর্তমানে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোর জন্য শ্রমিক নিয়োগ পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশি নিরাপত্তারক্ষী ও সেবাকর্মীদের জন্য সুযোগ দেওয়া এবং মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত বা অনিবন্ধিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়মিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান।
মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখন মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের সমান সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পাবেন এবং বাংলা ভাষায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
বাংলাদেশ হাজারো শিক্ষার্থীর জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট পাস’ ভিসা চালুর অনুরোধ জানায়, যারা বর্তমানে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত।
উভয় নেতা বাংলাদেশকে আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা গভীর করার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদা পাওয়ার প্রচেষ্টা। এ বিষয়ে ড. ইউনূস আসিয়ানের চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়াকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তিনি রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি মালয়েশিয়ার একের পর এক সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
অর্থনৈতিক বিষয়ে, দুই পক্ষ বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাকে ত্বরান্বিত করা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করা এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসা পরিষদ সক্রিয় করার বিষয়ে একমত হন।
দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতির কথা উলে­খ করে ঢাকা বাংলাদেশের ওষুধ, ব্যাটারি, জুতা, সিরামিক ও পাটজাত পণ্যের জন্য মালয়েশিয়ার বাজারে আরও প্রবেশাধিকার চেয়েছে।
বাংলাদেশ নীল অর্থনীতি ও হালাল শিল্প উন্নয়নে মালয়েশিয়ার সহায়তা কামনা করে, যার মধ্যে ঢাকার বাইরে একটি হালাল অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আঞ্চলিক বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে (আরসিইপি) যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করে।  
দুই দেশই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ ও জ্বালানি সহযোগিতার নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে স্বাগত জানায় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি অংশীদারিত্ব অন্বেষণে সম্মত হয়। তারা প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রেও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। 
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখার প্রশংসা করেন এবং প্রখ্যাত এশীয় সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দেন।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
উভয় নেতা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এলএনজি সরবরাহ ও জ্বালানি সহযোগিতা, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও মালয়েশিয়ার ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (আইএসআইএস)-এর মধ্যে সহযোগিতা, বাংলাদে-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও মালয়েশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মাইক্রোইলেকট্রনিক সিস্টেমস (এমআইএমওএস)-এর মধ্যে সহযোগিতা এবং এফবিসিসিআই (এফবিসিসিআই) ও এনসিসিআইএম (এনসিসিআইএম)-এর মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কিত একাধিক সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন। তারা ক‚টনৈতিক প্রশিক্ষণ, হালাল শিল্পখাত এবং উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা সম্পর্কিত নোটও বিনিময় করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।
সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় : বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় করেছে। মঙ্গলবার সকালে কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও নোট বিনিময় হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথম নোটটি উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা নিয়ে, যা বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দ্বিতীয় নোটটি কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে, যা বিনিময় করেন একই দুই কর্মকর্তা।
তৃতীয় নোটটি হালাল ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা নিয়ে, যা বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উপমন্ত্রী সেনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
পাঁচটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে : ১. প্রতিরক্ষা সহযোগিতা : এটিতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ বিন নরদিন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন।
২. এলএনজি সরবরাহ, অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে সহযোগিতা : এটিতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অর্থনৈতিক মন্ত্রী দাতুক সেরি আমির হামজা বিন আজিজান ও বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মোঃ ফওজুল কবির খান।
৩. কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা : ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (আইসিস) চেয়ারম্যান দাতুক প্রফেসর ড. মোহদ ফাইজ আবদুল­াহ ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
৪. প্রযুক্তি সহযোগিতা : মিমোস সার্ভিসেস এসডিএন বিএইচডি ও বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা হয়েছে। মিমোস সার্ভিসেস এসডিএন বিএইচডির (এমএসএসবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফৌজি ইয়াহায়া ও বিএমসিসিআই শাব্বির আহমেদ খান এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
৫. বাণিজ্য ও শিল্প খাতে সহযোগিতা : মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশের এফবিসিসিআইর মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এনসিসিআইএমের সভাপতি দাতো সেরি এন গোবালাকৃষ্ণন ও এফবিসিসিআইর প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান।
এর আগে সফরের দ্বিতীয় দিনে সকাল ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। সেখানে ড. ইউনূসকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
গার্ড অব অনার প্রদান শেষে আনোয়ার ইব্রাহিম তার মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।