খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৪ অগাস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

ক্রীড়া সংগঠক কোকোর ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:২৫ এ.এম | ১৪ অগাস্ট ২০২৫


খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি শহিদ হয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকারের অত্যাচারের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে দেশবরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উদ্যোগে দোয়া পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতি করতেন না, তাকে শুধু জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান হওয়ার কারণে অন্যায়ভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছিল। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের ষড়যন্ত্রে তিনি চরম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন, যা শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মালয়েশিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তুহিন আরও বলেন, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন ক্রীড়ামোদী, বিশেষ করে ক্রিকেটপ্রেমী একজন মানুষ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আধুনিক রূপদাতা হিসেবে তিনি টেস্ট স্ট্যাটাস থেকে শুরু করে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেন। তাঁর উদ্যোগেই মাত্র ছয় মাসে বগুড়ার চান্দু স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানে নির্মিত হয়, যা দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। কোকো নিজে ক্রিকেট খেলেছেন, ক্লাব পরিচালনা করেছেন এবং দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি বিদেশি ক্রীড়াবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দেশের ক্রিকেটের মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ খুলনা মহানগরের আহবায়ক শাহ্ আসিফ হোসেন রিংকু।  
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোল­া খায়রুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম হোসেন, এনামুল হক সজল, আতাউর রহমান রুনু, মোঃ তরিকুল ইসলাম, এস এম নাসির উদ্দিনসহ খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।