খুলনা | শুক্রবার | ১৫ অগাস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

ডুমুরিয়ার আবাসনের যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা, কেশবপুর সীমান্তে লাশ উদ্ধার

ডুমুরিয়া ও কেশবপুর প্রতিনিধি |
০২:১৪ এ.এম | ১৫ অগাস্ট ২০২৫


ডুমুরিয়ায় বরাতিয়া আবাসনের তারেক সরদার (২৫) নামে এক যুবককে গত বুধবার দিবাগত রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে কেশবপুর উপজেলা সীমান্তে ভদ্রা নদীর তীরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কেশবপুর থানা পুলিশ গৌরিঘোনা দক্ষিণপাড়ার ভদ্রা নদীর চরে রেজাউল সরদারের সবজি ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত তারেক কেশবপুরের গৌরিঘোনা গ্রামের শহিদুল সরদারের ছেলে। দীর্ঘ ৪ বছর যাবত শ্বশুরবাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া এলাকায় সরকারি আবাসনের একটি ঘরে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। তিনি একজন ডিপটিউবওয়েল বোরিং মিস্ত্রি।
স্থানীয়রা জানায় তারেক সরদার ৪ বছর আগে ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া এলাকার বিল­াল হোসেনের মেয়ে লিমা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারেক বরাতিয়া আবাসনে একটি ঘর পেয়ে সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতো। টিউবওয়েল মিস্ত্রির কাজ করার কারণে অধিকাংশ সময় তার বাইরে দিন কাটতো। তবে গাঁজা ও ড্যান্ডি নামক মাদকের নেশা করতো তারেক। 
বরাতিয়া আবাসনের কোহিনুর বেগম জানান কাজের সুবাদে তারেক প্রায়ই সময় বাইরে থাকতো। গত ৪ দিন বাড়িতে এসেছে। বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়, এরপর আর ফেরেনি। তারেকের ১৮ মাস বয়সি এক প্রতিবন্ধী পুত্র এবং স্ত্রী লিমার গর্ভে তার সন্তান আছে। আবাসনের আব্দুল হামিদ জানান, তারেককে কে-বা কারা মেরে নদীর ওপার (গৌরিঘোনা) ফেলে গেছে। সকালে নদী পার হয়ে তারেকের লাশ দেখে এসেছি। তার লাশ টানা হয়েছে যেটা নদীর চর দেখে বোঝা গেছে। 
নিহতের ভাই মফিজুর সরদার জানান, তার ভাইয়ের সাথে কারো তেমন শত্র“তা ছিল না। তাকে কেন হত্যা করা হলো তা তারা বুঝতে পারছি না। তারা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের সাজার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
কেশবপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, তারেক সরদারের লাশ গৌরিঘোনার রেজাউলের সবজি ক্ষেতের আইলের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হয়। পুলিশের ধারণা খুনিরা তারেককে ডুমুরিয়ার সিমান্তে হত্যা করে কেশবপুর সিমান্তে ফেলে দিয়েছে। লাশ টানা হয়েছে এমন আলমত দেখা গেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে।