রূপসা ঘাট পারাপার করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারাতে হয় অনেক স্বজনকে। এই মরণঘাতী পারাপারের হাত থেকে বাঁচতে অনতি বিলম্বে ফেরি চালু করতে হবে। এর ফলে পূর্ব রূপসা এবং খুলনার সাথে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। জরুরি চিকিৎসাসহ বাণিজ্য খাতে প্রসার লাভ করবে। দূর হবে রূপসা ঘাটে নানা অনিয়ম। দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে গড়ে উঠবে পারস্পরিক সম্পর্ক। এভাবে বললেন সিভিল সোসাইটির আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ।
সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে খুলনা  সিভিল সোসাইটির উদ্যোগে খুলনার চলমান প্রকল্প গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণসহ স্থায়ী ক্যাম্পাস, নগরীতে যানজট নিরসন ও পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা সিভিল সোসাইটির আহবায়ক এস এম শাহনাওয়াজ আলী। সভা পরিচালনা করে সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সংগঠক মাসুদ মাহমুদ, নারী নেত্রী সিলভী হারুণ, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, সিপিবির জেলা কমিটির নেতা মিজানুর রহমান বাবু, সুরখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম সীপার, কনসেন্সের নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, দক্ষিণ অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের মহাসচিব ইঞ্জিনীয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সহ-সভাপতি সরদার আবু তাহের, জনউদ্যোগ খুলনার আহবায়ক ও শিক্ষক নেতা মানস রায়, চ্যানেল নাইনের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক সুনীল দাস, কবি সৈয়দ আলী হাকিম, নারীনেত্রী কৃষ্ণা দাশ প্রমুখ।  
সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও খুলনায় এখনো পর্যন্ত চলমান প্রকল্পগুলোর মেয়াদ শেষ হলেও নানা তালবাহানায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আর এই প্রকল্প গুলো চালু না হওয়ায় বিপদে পড়েছে নগরবাসী। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের নামে অধিক বরাদ্দ হলেও সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। বড় বড় সড়কগুলোয় ঠিকাদাররা সঠিক ভাবে কাজ না করায় এর সুফল  থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খুলনাবাসী।  
নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানগরীতে এখনই যেভাবে যানজট সৃষ্টি হয়েছে, এর জন্য নতুন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণসহ নানা সংকটে পড়তে হবে নগরবাসীকে। খুলনার প্রাণের দাবি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন চালু করার অঙ্গীকার বিগত সরকারগুলো দিলেও আজও বাস্তবে রূপ নেয়নি।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আচার্য প্রফুল­ চন্দ্রের বাড়ির সংরক্ষণের স্বার্থে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানান।