খুলনা | বুধবার | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫

খবর প্রতিবেদন |
১১:০৩ পি.এম | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতা নেই বলে নিশ্চিত করেছে হামাস।  

আরবি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- হামাসের গাজা শাখার প্রধান খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হিমাম আল-হাইয়া এবং খলিল আল-হাইয়ার অফিস পরিচালক জিহাদ লাবাদ আবু বিলাল।

অন্য তিনজন হলেন- আবদুল্লাহ আবু খলিল, মোমেন আবু ওমর এবং আহমেদ আবু মালেক, যারা সম্ভবত হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেহরক্ষী বা উপদেষ্টা।  

এদিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকের সময় হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা হলেও তারা অক্ষত রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, হামলায় আল-হাইয়ার ছেলে হিমাম এবং তার একজন শীর্ষ সহযোগী নিহত হন। অন্যান্য শীর্ষ নেতারা বর্তমানে নিরাপদে আছেন।

এছাড়াও হামাসের দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনাকারী দলের হামাস নেতারা এই হামলায় বেঁচে গেছেন। এরমধ্যে খালিল আল-হায়াও ছিলেন। তিনি হামাসের গাজা প্রধানের পাশাপাশি প্রধান আলোচকের দায়িত্বও পালন করছেন।

অন্যদিকে দোহায় হামলাকে সফল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে হামাস হতাহতে সংখ্যা লুকানো চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে দখলদাররা।

ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছে, কাতারে হামাসের নেতৃত্বের ওপর আমাদের হামলা সফল হয়েছে, আমরা এই বিষয়ে আশাবাদী। তবে আমরা জানতাম হামাস সেখানে যা ঘটেছিল তা লুকানোর চেষ্টা করবে।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে এক বৈঠকে আলোচনার সময় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাল।

এদিকে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

কাতারের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতি বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের সমন্বয়ে হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামাসের এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ইসরায়েলের ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।’

ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাতারে হামাসের নেতৃত্বের ওপর হামলায় ১০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যারা কমপক্ষে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রই এমন একটি ভবনে আঘাত হানে যেখানে হামাস নেতারা জড়ো হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা