খুলনা | শনিবার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

৬ লাখ কোটিতে পৌঁছাতে পারে খেলাপি ঋণ

খবর প্রতিবেদন |
০১:০১ এ.এম | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫


আরও এক দফা বাড়ছে খেলাপি ঋণ। সেপ্টেম্বরের শেষে যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকায়। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ বাণিজ্যিক ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রকৃত চিত্র উঠে আসায় বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। অনেক শিল্প মালিকের বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এবং কারখানা বন্ধের প্রভাবও পড়েছে খেলাপি ঋণে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। ১৫ বছর পর গত অর্থবছরের শুরুতে যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, মার্চ থেকে জুন, তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। আর এক বছরে তিন লাখ ১৯ হাজার ৩৬ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকায়।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ফরেনসিক অডিটের মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। ঋণ খেলাপি হওয়ার নিয়মে পরিবর্তনও বড় কারণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘প্রাইভেট সেক্টরটা কলুষিত হয়েছে গত ১ দশক ধরে। নিজেরাই নিজেদের ব্যাংক খাতটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। কিছু খেলাপি ঋণ আদালতের নির্দেশে খেলাপি দেখানো হবে না বলে আনক্লাসিফায়েড দেখানো হচ্ছিল। আমরা সেটা উপেক্ষা করে এখন সবগুলোকে ক্লাসিফায়েড দেখাচ্ছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরেনসিক অডিটে এমন হয়েছে যে আমরা ধারণা করছি সামনে এটার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। তাই এখনই আমরা সেগুলোকে ক্লাসিফায়েড করে ডিএফ করে দিয়েছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ মাত্র ৬ মাসে ১০ শতাংশ বেড়েছে। জুনে যে পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। রাজনৈতিক প্রভাবে ঋণ বিতরণে অনিয়মই বড় কারণ, মনে করেন এই কর্মকর্তা।
আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ওই ব্যাংকগুলোকে আসলে রাজনৈতিক হোক বা অন্য কোনো প্রভাব বিস্তার করে, এক নম্বর হলো ঋণ স্যাংশন করা, যে ঋণ স্যাংশনের কথা না। আবার যে পরিমাণ হওয়ার কথা তার দ্বিগুণ বা তিনগুণ করা হয়েছে। এ কারণেই পরে আর ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।’
স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ব্যাংক খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার তাগিদ পর্যবেক্ষকদের।