খুলনা | শনিবার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

টঙ্গীতে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৬ এ.এম | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫


গাজীপুরের টঙ্গীতে চোর সন্দেহে আটকের সাড়ে সাত ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে রনি মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একইদিন দুপুর ২টার দিকে চোর সন্দেহে আটকের পর স্থানীয়রা রনিকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর রশীদ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রনির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রনিকে থানায় কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মারা যাওয়া রনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মীরের বেতকা গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। তিনি টঙ্গীর বড় দেওড়া পরান মুলের টেক এলাকার একটি বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। 
এলাকাবাসী জানান, রনি একজন মাদকাসক্ত। তিনি মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েন। তার এসব কার্যক্রমে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকার অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি সাবমারসিবল পাম্প এবং কিছু পাইপ চুরি করেন রনি। চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাকে আটক করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রনি থানা হাজতের ওয়াশরুমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য টঙ্গী শহিদ আহসানউল­াহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রনিকে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রনির মৃত্যু হয়।
টঙ্গী শহিদ আহসানউল­াহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশীষ চৌধুরী বলেন, “পুলিশ রনিকে হাসপাতালে আনে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।”