খুলনা | শনিবার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৩ এ.এম | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছর সাজা দেওয়া বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নিউজ আপডেটে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের তথ্য জানানো হয়েছে। একই তথ্য দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম। এর আগে গত ৩১ আগস্ট তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ আখতারুজ্জামানকে তলব করে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। গত ১ জুলাই সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। সেই ব্যাখ্যা দিয়েই প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরই মধ্যে পদত্যাগপত্রটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এর আগে, গত ২৩ মার্চ বিচারপতি মোঃ আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মোঃ আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
অভিযোগ ওঠার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তদন্ত শুরু করেন। এ তদন্তের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মোঃ আক্তারুজ্জামানকে অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়।
গত ২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদের মধ্যে বিচারপতি মোঃ আখতারুজ্জামানকে ডেকেছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। পরে গত ২৬ আগস্ট আখতারুজ্জামানের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানির পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত জানার আগেই ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র দেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতি পদত্যাগ করেন। তারা হলেন সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক ও এ কে এম জহিরুল হক। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি মোঃ আখতারুজ্জামান ২০১৮ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।