খুলনা | সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

পদায়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন আদেশ প্রত্যাহার দাবি

এবার এসপি গৌতম কুমারকে চুয়াডাঙ্গায়

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি |
১১:৪৮ পি.এম | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫


তিনি আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সহযোগী ও দোসর ছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী-এমন অভিযোগ এনে পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গায় পদায়নের প্রতিবাদ ও আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় তার পদায়ন আদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনকারীরা। রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ‘চুয়াডাঙ্গাবাসী ব্যানারে’ এ মানববন্ধন করা হয়।
এর আগে গত ক’দিন ধরে এসপি গৌতমকে নিয়ে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে নানা বিরুপ পোস্ট হতে দেখা যায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতা, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হয়রানি, সভা করতে না দেওয়া, ওয়াজ মাহফিলে বাধা দানের মতো নানা সচিত্র অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
এবার তার বিরুদ্ধে সরাসরি মানববন্ধন করলেন চুয়াডাঙ্গাবাসী। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চুয়াডাঙ্গা জেলার আহবায়ক আলমগীর হোসেন, এনসিপির জেলা যুগ্ম-আহŸায়ক ছমির হোসেন ও সুমন হোসেনসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট ও জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী গৌতম কুমার বিশ্বাস। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর ফ্যাসিস্ট ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। তাকে কোনো ভাবেই পুলিশ সুপার হিসেবে চুয়াডাঙ্গাবাসী মেনে নেবে না।
অবিলম্বে গৌতম কুমার বিশ্বাসের পদায়ন বাতিল করে সৎ ও নিরপেক্ষ পুলিশ সুপারকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়োগের দাবি জানান এবি পার্টির নেতা।
আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড সভাপতি নুরুজাজ্জামান, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আমিরুল ইসলাম, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহবায়ক রফিউল কাদির, সদস্য সচিব আলী রুশদী, দামুড়হুদা থানা সদস্য সচিব আরশেদ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা।
ঢাকা মহানগরের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম কুমার বিশ্বাসকে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই প্রজ্ঞাপনে বর্তমান পুলিশ সুপার গোলাম মওলাকে বদলি করে সদর দপ্তরে সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) হিসেবে পদায়ন করা হয়।