খুলনা | সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইসলামি সামরিক জোট চায় ইরাক

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৭ পি.এম | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ইসরায়েলের সম্প্রসারিত হামলার প্রেক্ষাপটে ইসলামি দেশগুলোর একটি সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। কাতারে আসন্ন আরব-ইসলামিক সম্মেলনের আগে দোহায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার সরাসরি লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার এখনই সময়।

সম্প্রতি দোহার একটি স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালায়। এতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনাকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন ধরনের হুমকি হিসেবে দেখছে ইরাক। তাদের মতে, কাতারের মাটিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন বা সীমানার তোয়াক্কা করে না।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করলে একটি শক্তিশালী যৌথ প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন সম্ভব। শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও একযোগে কাজ করার সময় এসেছে। তার ভাষায়, ইসরায়েলি আগ্রাসন কাতারে থেমে থাকবে না, তা অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে দোহায় জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কাতারে হামলার নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা একটি যৌথ ইসলামি বা আরব সামরিক জোট সক্রিয় করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই উদ্যোগটি প্রায় এক দশক আগে মিশরের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল।

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তাদের পাঁচজন সদস্য নিহত হলেও শীর্ষ নেতৃত্ব নিরাপদ রয়েছে। দোহার এই ঘটনার পর উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আলোচনা জোরদার হয়েছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব আরব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল, তাদের মধ্যে মতপার্থক্য বেড়েছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

ইরাকের মতে, মুসলিম বিশ্বের হাতে এখন অনেক ধরনের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সামর্থ্য আছে। যদি সময়মতো তা ব্যবহার না করা হয়, তাহলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। সে কারণেই এখনই প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ।