খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২ আশ্বিন ১৪৩২

জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে : ফিরোজ সরকার

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৪০ এ.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার বলেছেন, দেশে জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সে কারণে বর্ধিত জনসংখ্যার সাথে সঙ্গতি রেখে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি সঠিকভাবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে দায়িত্বরতদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং-এ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
গতকাল বুধবার দুপুরে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে ‘‘ক্লাইমেট স্মার্ট ওয়াশ সিস্টেম ইন খুলনা সিটি কর্পোরেশন’’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিসেফ’র আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও খুলনা ওয়াসা যৌথভাবে নগরীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। 
কেসিসি প্রশাসক আরও বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহারের চেষ্টা করতে হবে। মেডিকেল বর্জ্যরে পৃথক ব্যবস্থাপনাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উলে­খ করে তিনি বলেন, হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে রোগীর ব্যবহার্য বর্জ্যরে সাথে মেডিকেল বর্জ্যরে মিশ্রণ ঘটে থাকে। এ বিষয়ে নার্স ও ক্লিনারদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। তবেই প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে বলে তিনি উলে­খ করেন। 
উলে­খ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশের কারণে কৃষি উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়ায় আশেপাশের গ্রামীণ এবং উপক‚লীয় অঞ্চলের মানুষ উন্নত জীবিকার সন্ধানে শহরে চলে আসছে এবং অভিবাসীদের অনেকেই বিভিন্ন বস্তিতে বসতি স্থাপন করছে। যেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পানীয় জল, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি সীমিত। ফলে বাসিন্দারা, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট এবং প্রজনন ব্যাধিসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।  বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন এবং হাইজিন পরিষেবার সুযোগ উন্নত করাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ পানীয় জলের জন্য ওয়াটার এটিএম বুথ স্থাপন, দূষিত পানি  শোধনাগার এবং মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এবং এর মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে বলে সভায় জানানো হয়।  
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মোঃ মনিরজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোঃ মাসুদ করিম, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল­া মারুফ রশিদ, এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন, খুলনা ওয়াসা’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) ঝুমুর বালা, ইউনিসেফ-এর খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোঃ কাওসার হোসেন, প্রকল্পের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, ওয়াশ অফিসার আশফাকুর রহমান সজিবসহ ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।