খুলনা | বুধবার | ০১ অক্টোবর ২০২৫ | ১৬ আশ্বিন ১৪৩২

‘সবাই সমান অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ভোগ করবে’

দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে : বকুল

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৫৩ এ.এম | ০১ অক্টোবর ২০২৫


দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি দেশের সামগ্রিক সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে, ক্ষমতার নয়। সনাতন সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করার যে প্রবণতা আছে তা থেকে সরে আসতে হবে। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকই সমান অধিকারের ভিত্তিতে দাঁড়াবে। বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তারেক রহমানও সেই আদর্শেই এগোচ্ছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাৎসব উপলক্ষে দৌলতপুরে সনাতন ধর্মলম্বীদের পুজামন্ডপ পরিদর্শনকালে পুজারীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না গেলেও জনগণের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। জনগণ যদি বিএনপিকে রায় দেয়, তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়বো। নতুন বাংলাদেশে ‘মাইনরিটি’ শব্দের কোনো স্থান থাকবে না। এই দেশে জন্ম নিলে কিংবা মৃত্যুবরণ করলে সবাই বাংলাদেশী। মুসলমান বা হিন্দু-কেউ আলাদা করে বাড়তি সুবিধা নেবে না। সবাই সমান অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ভোগ করবে। 
সনাতন সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বকুল বলেন, আপনারা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন, কোনো দলের পুঁজি নন। আপনাদেরকে ব্যবহার হতে দেওয়া যাবে না। দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের অধিকার আছে-সমানভাবে সমাজে দাঁড়াতে হবে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে সনাতন সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ নয়, বরং কেবল কুচক্রী মহলই লাভবান হয়েছে। কিছু এলাকায় হামলা ও লুটপাটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সে যদি বিএনপির লোকও হয়, তার শাস্তি দ্বিগুণ হবে। 
তিনি প্রতিশ্র“তি দেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে। রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আগামী ফেব্র“য়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, যাতে জনগণ ভোটের উৎসব পালন করতে পারে। একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে, কীভাবে ফেব্র“য়ারির ভোট বানচাল করা যায়। আপনারা চোখ-কান খোলা রাখবেন, ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেবেন না। যেখানেই অন্যায়, সেখানেই প্রতিরোধ। তিনি ব্যবসায়ী মহলকে ভয়মুক্ত পরিবেশে কাজ করার আহŸান জানান এবং প্রশাসনের কাছে সবার সঙ্গে সমান আচরণ নিশ্চিত করার দাবি জানান। বক্তৃতার শেষাংশে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমাদের স্বপ্ন-তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক বাংলাদেশ গড়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ সাদী, মুর্শিদ কামাল, ইমাম হোসেন, প্রফেসর মাধব চন্দ্র, সত্যানন্দ দত্ত, শ্রামল কুমার দাশ, অজয় কুমার দে প্রমুখ।