খুলনা | বুধবার | ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | ৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

বিসিবি নির্বাচনে সরকারের একটি গোষ্ঠী নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৪:০৯ পি.এম | ০১ অক্টোবর ২০২৫


বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। গতকাল রাতে ১৫টি ক্লাব নির্বাচন বয়কটের গুঞ্জন ছড়ায়। আজ সেই গুঞ্জন সত্যি হলো, কারণ সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ১৫ জন প্রভাবশালী প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

আজ সকালে তামিম ইকবালসহ ওই প্রার্থীরা বিসিবির কার্যালয়ে এসে আবেদন জমা দেন। দুপুর ১২টা ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। তাদের সরে দাঁড়ানোর ফলে দুপুর ২টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পেছনে সরকারকে দায়ী করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও এক্সিউম ক্রিকেটার্স থেকে পরিচালক পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা ইসরাফিল খসরু। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। আমাদের পুরো বক্তব্য শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ দেখছি না। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে, বিসিবির নির্বাচনে এই পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল অস্বচ্ছ। জেলা-বিভাগের কাউন্সিলরদের ফোন করে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে... আবার ১৫টি ক্লাব নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা দেখছি।’

এটি কোনো স্বাভাবিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নয় জানিয়ে ইসরাফিল খসরু বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা এরকম নির্বাচন দেখতে পারি না। নির্বাচন ম্যানুফেকাচার করা হচ্ছে, এমনটা হতে পারে না। তাই নৈতিক জায়গা থেকে আমরা এই অবস্থান নিয়েছি।’

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন প্রসঙ্গে বিএনপির নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু বলেন,‘সমঝোতা হয় ফেয়ারনেস, যৌক্তিকতা ও সমতার ভিত্তিতে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকলে সমঝোতার প্রসঙ্গ আসে না। এখানে পুরো বিষয়টাই প্রভাবিত।’

তামিম ছাড়াও সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বাবু, সৈয়দ বোরহানুল ইসলামসহ আরো অনেক প্রভাবশালী প্রার্থীও ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিসিবি নির্বাচনের পরিস্থিতি এখন অনেকটা অজানা।