খুলনা | মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

খান এ সবুর মহিলা মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অধ্যক্ষের লুকোচুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩৮ এ.এম | ০৩ অক্টোবর ২০২৫


নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত খান এ সবুর মহিলা ফাযিল (ডিগ্রি) মডেল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক (ভোটার) অবহিত না করা এবং একজন প্রার্থীকে ভোটারদের ঠিকাদার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্ত ভোটার তালিকা সরবরাহ না করে লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. ছালেহ আহমেদ। তিনি পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানান অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। মাদ্রাসাটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৯৬৭জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত।
সূত্রমতে, শারদীয় দুর্গা পূজার ছুটির মধ্যেই আগামীকাল শনিবার মাদ্রাসাটির ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত দিন। এছাড়া এ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অভিভাবকদের সমন্বয়ে কোনো সভা আহবান বা অবহিত করা হয়নি। শেষ মুহুর্তে আশিকুজ্জামান শেখ নামের একজনকে ডেকে এনে এলাকার সর্বজন গ্রহনযোগ্য এসএম জাহিদুল করিম পিন্টুর বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দেন অধ্যক্ষ। এতে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
সাধারণ অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদেরকে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। অধ্যক্ষ তার পছন্দের ব্যক্তিকে বসানোর জন্যই এ লুকোচুরি করছেন। লুকোচুরি নির্বাচন বাতিল করে অভিভাবকদের সমন্বয়ে প্রস্তুতি সভার পর শিডিউল ঘোষণা করে নির্বাচনের দাবি সাধারণ অভিভাবকদের।
প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী এসএম জাহিদুল করিম পিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমাকে যে ভোটার তালিকা দেয়া হয়েছে-তাতে কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের (ভোটারের) ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর নেই। তাহলে আমি ভোট চাইবো বা যোগাযোগ করবো কিভাবে?
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খান এ সবুর মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ছালেহ আহমেদ। তিনি সময়ের খবরকে বলেন, লুকোচুরির কিছু নেই। আমি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সদস্য নির্র্বাচনের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছি। আর প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আশিকুজ্জামান শেখের পক্ষ আমি নিচ্ছি না। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসব বিষয়ে জানতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম ছায়েদুর রহমানের ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।