খুলনা | সোমবার | ০৬ অক্টোবর ২০২৫ | ২১ আশ্বিন ১৪৩২

দৌলতপুরে উঠান বৈঠকে বকুল

৩১ দফাই আগামী বাংলাদেশের পুনর্গঠনের রূপরেখা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০৩ এ.এম | ০৬ অক্টোবর ২০২৫


বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত আমরা অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিলাম, কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বুঝেছিলেন-একজন সুশিক্ষিত মা মানেই একটি সুশিক্ষিত জাতি। সেই ভাবনা থেকেই মেয়েদের জন্য ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত শিক্ষা বিনা বেতনে করা হয়েছিল।
রোববার নগরীর দৌলতপুরের পূর্বপাড়া ৪নং ওয়ার্ডে স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে উঠান বৈঠকে তিনি বলেন, আমাদের ম্যাডাম তখন পথশিশুদের নিয়েও ভাবতেন। যারা কাজ না করলে পরিবারে খাবার জোটে না, তাদের জন্য শুরু হয়েছিল ‘পড়ালেখার বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচি-যাতে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, আর সরকার তাদের খাওয়া বা অর্থের ব্যবস্থা করে। বকুল আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত ১৫ বছরে এসব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দেশনেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন, তা প্রমাণ করে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা দূরদর্শী। ৫ আগস্টের অনেক আগেই তিনি এই দফাগুলো তৈরি করেছিলেন, কারণ তিনি জানতেন-একদিন শেখ হাসিনাকে যেতেই হবে, আর তখনই দেশের পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি যোগ করেন, ৩১ দফা একা তৈরি হয়নি-প্রতিটি সেক্টরের পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ ও নাগরিকদের মতামত নিয়েই এই রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ যারা সংস্কার নিয়ে বড় বড় কথা বলেন, তাদের পরিকল্পনার ৯০ শতাংশই আমাদের সঙ্গে মিলে গেছে। আমরা দেশের মঙ্গল ও জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তা করি, আর ৩১ দফাই তার প্রমাণ। উঠান বৈঠকে বকুল বলেন, এই সভার মূল উদ্দেশ্য বক্তব্য দেওয়া নয়, বরং জনগণের কথা শোনা। আপনারা এলাকার সমস্যা, দলের কাজের ত্র“টি-বিচ্যুতি বা ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা তুলে ধরবেন-আমরা তা লিপিবদ্ধ করব এবং সম্ভাব্য সমাধানের চেষ্টা করব। ক্ষমতায় এলে দেশনেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।
সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুর্শিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতলেবুর রহমান মিতুল, ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেন লাবলু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আরমান হোসেন, এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ রুবায়েত হোসেন বাবু, শেখ রফিকুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন ডাবলু, হিটলার, কচি, কবীর, মফিজুল, মিজা, শেখ নাহিদ, খসরু, পলাশ, ডিকলার ও আলমগীর কবির প্রমুখ। এরপর বকুল খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন রকিবুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন শেখ। সভাপতিত্ব করেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন। দিনের শেষ কর্মসূচিতে তিনি খুলনা আড়ংঘাটা থানাধীন খানাবাড়ি শাহী জামে মসজিদ ও নূরে মদিনা মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।