খুলনা | সোমবার | ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন

গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

খবর প্রতিবেদন |
১২:২৫ এ.এম | ১১ অক্টোবর ২০২৫


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফেরার একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। তিনি বলেন, কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে শহিদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করেন নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, যতই সংস্কার করি বা বুদ্ধিজীবীরা মিলে কৌশল আবিষ্কারের চেষ্টা করি, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী ও স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে যতবার হোঁচট খেয়েছে, ততবারই উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।
হাসিনাকে শুধু ‘হাসিনা’ বললে একটু সম্মান দেওয়া হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, দানব হাসিনা দেশের সমস্ত কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা-সমস্ত জায়গা সে তছনছ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করে। অথচ গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে।
ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন :  বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা কারও মার্কায় হাত দেইনি। তাহলে আমাদের ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?’ ‘শাপলা মার্কা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে’ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ধানের শীষকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
বৃহস্পতিবার শাপলা প্রতীক বিষয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন এনসিপি নেতারা। বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন নির্বাচন কমিশনের সামনে দুটো পথ খোলা আছে হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, অন্যথায় প্রতীকের তালিকা থেকে ধানের শীষ, সোনালী আঁশ বাদ দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল হুমকি দিচ্ছেন, তাদেরকে অমুক মার্কা দেওয়া না হলে, আমাদের ধানের শীষ প্রতীকও বাদ দিতে হবে। আমরা তো কারও মার্কা নিয়ে কথা বলিনি। তাহলে, আমাদের ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?’ তিনি বলেন, ‘কাকে কোন মার্কা দেবে সেটা নির্ভর করবে ইসির সিদ্ধান্তের ওপর। সেখানে বিএনপি’র তো কিছু করার নেই।’
ধানের শীষকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য। সারা দেশে ধানের শীষের শ্লোগান উঠেছে। ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে চক্রান্তকারীরা চলে যেতে বাধ্য হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একমাত্র পথ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।’
হাসিনাকে শুধু ‘হাসিনা’ বললে একটু সম্মান দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মনস্টার হাসিনা দেশের সবকিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা সব জায়গায় সে তছনছ করে দিয়েছে।’ ফখরুল বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি সমগ্র সময় ধরে লড়াই করেছে।’