খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

দিঘলিয়ায় শিশু হত্যায় জড়িত ফয়সালের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, আটক ৩

দিঘলিয়া প্রতিনিধি |
০২:০৯ এ.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৫


দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় ৭ বছরের শিশু জিসান হত্যাকান্ডে জড়িত ফয়সালের বায়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। জিসানের পিতা মোঃ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তিন জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। হত্যার সাথে জড়িত তিন আসামিকে পুলিশ আটক করেছে।
এর আগে শিশু জিসানকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ফাঁসির দাবিতে  রোববার মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। শেষে বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং মন্ডল মিলের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে ফয়সালের বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত জিসানের পিতা মোঃ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে রোববার ফয়সালসহ তার পিতা-মাতাকে আসামি করে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফয়সাল (২৫), তার পিতা জিএম হান্নান (৫২), মাতা মাহিনুর বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে।
থানা সেকেন্ড অফিসার এসআই লিটন কুমার মন্ডল বলেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পিতার গ্রামের বাড়ি শেরপুরে দাফন করা হবে। ঘটনার তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
দেয়াড়া খেয়াঘাটে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন শেখ আবু জাফর, অধ্যাপক মনিবুর রহমান, শেখ মাহবুব আলম, মোল্লা নাজমুল হক, মোঃ জহিরুল ইসলাম, জিয়াউদ্দিন মিলটন, মোল্লা রাজু আহমেদ, মাহামুদুল হাসান মিঠু, আব্দুল কাদের জনি, মোহাম্মদ আলী টুটুল, হালিম খলিফা, রাজীব আহমেদ, সোহেল জাফর মঈন। মানববন্ধনে বক্তারা শিশু জিসানকে  হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন জিএম হান্নান হোসেনের বাড়ির উঠান থেকে হাত-পা বাঁধা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বস্তার ভেতর থেকে শিশু জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করে দিঘলিয়া থানা পুলিশ এবং যৌথবাহিনী। এর আগে ৯ অক্টোবর বিকেল তিনটার দিকে জিসান পার্শ্ববর্তী তার চাচার বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।