খুলনা | মঙ্গলবার | ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

দুই সন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

মোংলায় যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম, স্ত্রী আহত

মোংলা প্রতিনিধি |
০১:৩০ এ.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২৫


মোংলায় এক যুবককে কাঠের বাতা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সাথে থাকা তার স্ত্রীও আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের কবরস্থান রোড শ্রমিক সংঘ সংলগ্ন মেইন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই সন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। 
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে মটরসাইকেল ওভারটেক নিয়ে দুইজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের হিসেবে এঘটনার সুত্রপাত। সোমবার ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মোংলা ইপিজেড গামেন্টসে যাচ্ছিলেন উপজেলার মিঠাখালী এলাকার মহিদুল শেখ (৩২)। সকাল সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের কবরস্থান রোড শ্রমিক সংঘ এলাকায় পৌছালে পিছন থেকে এসে গাড়ীর গতিরোধ করে বনি আমিন ও মাহমুদ নামের দুই সন্ত্রাসী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি কাঠের লাঠি দিয়ে পিছন থেকে মাথায় পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মহিদুলকে। এসময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও মেরে আহত করে। আহত মহিদুল মোংলা উপজেলার মিঠাখালীর সোনাখালী এলাকার হান্নান শেখের ছেলে। মহিদুলের সাথে সন্ত্রাসীদের মাহমুদ ও বনি আমিনের পূর্ব শত্র“তা চলছিল বলে জানায় এলাকাবাসী।  
পরে স্থানীয়রা মহিদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখাণে অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় মহিদুলের স্বজনরা। 
অপরদিকে, ওই দুই সন্ত্রাসীকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় মহিদুলের বড় ভাই বুল বুল শেখ। আটক দুই সন্ত্রাসী হেমায়েত শেখের ছেলে বনি আমিন ও মজিবুর রহমান হাওলাদার ছেলে মাহমুদ হাওলাদার। তাদের বাড়ি সুন্দরবন ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকায় বলে জানা গেছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচজার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, কবরস্থান রোড এলাকায় একজনকে মেরে আহতের খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জনতার সহায়তায় এর সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে, মামলা শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানায় তিনি।