খুলনা | মঙ্গলবার | ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

ডুমুরিয়ায় নির্বাচনী গণসংযোগে মিয়া গোলাম পরওয়ার

পিআর বুঝিনা এই কথা কোন রাজনৈতিক নেতা বা দায়িত্বশীলের হতে পারে না

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০২ এ.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২৫


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর বুঝিনা এই কথা কোন রাজনৈতিক নেতা বা দায়িত্বশীলের কথা হতে পারে না। এই পদ্ধতি জনগণ চায় কি না, সেটা জুলাই চার্টারে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটে দিয়ে দেয়া হোক। জনগণ যদি চায় তবে সবাইকে মানতে হবে। আর জনগণ যদি না বলে জামায়াতে ইসলামী সেটা মেনে নেবে। তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং জুলাই সনদের মধ্যে পিআর পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দিয়ে জনমত যাচাই করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই গণভোট দিয়ে জনগণ যদি পিআরের পক্ষে মতামত দেয়, তাহলে সকল রাজনৈতিক দলকে পিআর পদ্ধতি মেনে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজদের সুযোগ থাকবে না। সেজন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান না একটি রাজনৈতিক দল। গতকাল সোমবার সকালে খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) ডুমুরিয়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন। 
এ  সময় তার সাথে ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য এড. আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু তাহের, পশ্চিম শাখা সভাপতি শামিদুল হাসান লিমন, উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল,  জামায়াত নেতা আব্দুল গনি খান, শেখ জালাল উদ্দিন, শেখ মোসলেম উদ্দিন, হাফেজ মঈন উদ্দিন, আবদুল হান্নান, আবুল হোসেন, মাওলানা আব্দুস সোবহান, ফরিদ হোসেন, আবু সুফিয়ান, আলমগীর কবির, নাজমুল হোসেন প্রমুখ। 
এদিকে সকাল ১০ থেকে শুরু করে যোহর নামাজের পূর্ব পর্যন্ত তিনি ডুমুরিয়া সদরের ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সালাম, শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। 
জাতির প্রত্যাশার আলোকে বর্তমান সরকার দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেক্রেটারি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনায় মিলিত হন। দীর্ঘ আলোচনার পর ৮৪টি প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। অনেকগুলো প্রস্তাবের সাথে কতিপয় রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করায় সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদ প্রস্তুত করেছেন। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ তাদের পরামর্শ সরকারের নিকট উপস্থাপন করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। 
বিকেল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় কুলটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ভোটার সমাবেশ ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশীদ আল আজাদের সভাপতিত্বে এবং গৌতম ফৌজদার ও ফরিদুজ্জামানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান,  উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুহিনুজ্জামান, অধ্যাপক নিহার কান্তি মহলদার, ডা. নিত্য রঞ্জন রায়, সুজিৎ কুমার সরকার, দেবাশীষ মন্ডল, অধ্যাপক রঞ্জন তরফদার প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৭টায় ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে ভোটকেন্দ্র দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আব্দুর রশীদ বিশ্বাসের পরিচালনায় ভোট কেন্দ্র কমিটির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস,  জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড. আবু ইউসুফ মোল্লা, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আমানুল্লাহ হালদার,  মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন প্রমুখ।