খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

খবর প্রতিবেদন |
০৩:৪৯ পি.এম | ১৫ অক্টোবর ২০২৫


শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী এবং তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের এই আদেশ দেয়া হয়।

‎বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার ১৫তম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ আদেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ হাসান।

বিচার শুরু হওয়া অপর তিন আসামি হলেন- সুব্রত বাইনের তিন সহযোগী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির।

‎শুনানিকালে এদিন কারাগার থাকা সুব্রত বাইন ও আরাফাতকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি মোল্লা মাসুদ ও শরীফকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়।

বেলা ১টার দিকে চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মাহফুজ হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন। ‎আর আসামিদের পক্ষের আইনজীবী কাজী মজিবর রহমান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

‎চার্জগঠনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর আদালত আগামী ১৬ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

গত ২৭ মে ভোর ৫টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে।

অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এস আই আসাদুজ্জামান।

‎‎মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো। সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। পরে সে ভারত পালিয়ে যায়।

৫ আগস্টের পর সে দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করে। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ।

পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা হতে একইদিন বিকেল অনুমান ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।

‎‎গত ১৩ জুলাই চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম।