খুলনা | বুধবার | ২২ অক্টোবর ২০২৫ | ৬ কার্তিক ১৪৩২

মাদারীপুরে মাদরাসাছাত্রী হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৪০ পি.এম | ২১ অক্টোবর ২০২৫


মাদারীপুরে মাদরাসাছাত্রী দীপ্তিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদ হোসেন খান সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পূর্বেও শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান।

নিহত দীপ্তি (১৫) একই উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে ও বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মজিবর ফকির বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মামলায় তদন্তে নামে র‌্যাব-৮ বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে তদন্তে বেরিয়ে আসে ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ হোসেন খান ধর্ষণের পর দীপ্তিকে হত্যা করেছেন।

র‌্যাবের তদন্তে জানা গেছে, সাজ্জাদ হোসেন আগেও শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশে দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠেন। এসময় কোনো যাত্রী না থাকায় এ সুযোগে দীপ্তিকে জোর করে পূর্ব খাগদি এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তার দিয়ে বেধে কয়েকটি ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুইদিন পর মরদেহ ভেসে উঠলে এলাকাজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।