খুলনা | বুধবার | ২২ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ কার্তিক ১৪৩২

সাগরে মোংলা নৌবাহিনীর অভিযান

ইলিশ ধরার অপরাধে ৬টি ফিশিং ট্রলারসহ ১০৪ জন জেলে আটক

মোংলা প্রতিনিধি |
০২:০২ এ.এম | ২২ অক্টোবর ২০২৫


ভারতীয় জেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে এখন দেশী জেলেরাও ইলিশ নিধনে মেতে উঠেছে। তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেদাচ্ছে ইলিশসহ ধরে নিচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। বঙ্গোপসাগর থেকে ৬টি ফিশিং ট্রলারসহ ১০৪ জন দেশী জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। নৌবাহিনী গভীর সমুদ্র থেকে তাদের আটক করে মঙ্গলবার বিকেলে মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশও রয়েছে। 
মোংলা থানার ওসি তদন্ত মানিক চন্দ্র গাইন জানান সমুদ্র ও মোংলা বন্দর সংলগ্ন এবং সুন্দরবন সংলগ্ন নদী খালে মা ইলিশ সংরক্ষণে চলমান ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। যা শুরু হয় ৪ অক্টোবর থেকে চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্ত চলতি এ ২২ দিন অপেক্ষা করতে না পেরে বেশী লাভের আশায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ করছিল এসব বাংলাদেশী জেলে। টহলরত নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৬টি ফিশিং ট্রলারসহ ১০৪ জন জেলেকে আটক করে।
আটক জেলেদের বাড়ি বরগুনা, পাথরঘাটা, পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালী ও মহিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। ট্রলারগুলোতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ছিল। নৌবাহিনীর হাতে জব্দ করা এসব মাছ নিলামে বিক্রি না করে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন আটক জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি তাদের বিরুদ্ধে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে মামলা হবে তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিশেষ বিবেচনায় জেলেদের ছেড়ে দেয়া হলেও যারা জেলেদের ইলিশ নিধনের জন্য উৎসাহ যুগিয়েছে অর্থাৎ ফিশিং ট্রলার মালিকদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ সরকারী আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ১৮ অক্টোবর “এফবি শুভ যাত্রা” নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলে আটক করে নৌবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে মালা দায়ের শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।